তুমি কি পৃথিবীর এমন অংশে বাস কর যেখানে তুষার ঝড় অথবা বালি ঝড়ের অভিজ্ঞতা হয়?আমাদের অনেকের জন্যই হঠাৎ প্রচন্ড তুষার ঝড়ের মত বিরুপ আবহাওয়া আমাদের নিত্য দিনের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে।তুষার এবং বাতাস যানবাহন থামিয়ে দিতে পারে এবং বিদ্যুৎ, তাপ এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়, একসাথে কয়েক দিনের জন্য।
২০১৪ এবং ২০১৬ এর মধ্যে, রোসেটা নভোযান ধূমকেতু 67P এর পাশাপাশি উড়ে যায়।এই দুই বছর সময়ে, রোসেটা আমরা পৃথিবীতে যে রকম বিরুপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হই তেমন কিছুর সম্মুখীন হয়েছিল।
এই ছবিটি রোসেটা ধূমকেতু 67P এর পাশ দিয়ে তার উড্ডয়নের সময় তুলেছিল।যদিও এটি দেখতে তুষার ঝড়ের মত, প্রকৃতপক্ষে আমরা যা দেখছি তা আসলে রোসেটার সামনের ক্যামেরা দিয়ে যাওয়া মহাজাগতিক ধূলির কণা।
ধূমকেতুদের মাঝেমধ্যে "অপরিষ্কার বরফগোলা" বলা হয় কারণ এরা বরফ এবং ধূলির তৈরি।যখন তারা সূর্যের কাছ দিয়ে ভ্রমণ করে সূর্যের তাপ তাদের পৃষ্টকে উষ্ণ করে তোলে এবং বরফকে মহাকাশে বাষ্পীভূত করে,এর সাথে ধূলি কণা বহন করে।ধূমকেতু ৬৭পি এর এত কাছ দিয়ে ভ্রমণ করার সময় রোসেটা ধূলির কণাগুলো থেকে এই রকম কিছু ঝড় এবং ঝাঁকানির সম্মুখীন হয়।
কিন্তু এর বিপদ সত্ত্বেও,এই ধূলিকণা বিজ্ঞানীদের কাছে প্রচন্ড কৌতুহলোদ্দীপক।রোসেটা এর জীবনকালে, দশ হাজার ধূলিকণা গবেষণা করেছে,যার তথ্য বিজ্ঞানীদের সৌরজগতের গঠন বুঝতে সাহায্য করছে।
Cool Fact
অনেক নভোযানের মত, রোসেটা সঠিক পথে চলার জন্য তারাদের ব্যবহার করেছে।কীভাবে যেন তারা অনুসরনকারী যন্ত্র মাঝে মধ্যে ধূলিকণাকে তারা ভেবে অনুসরণ করত!
Share: