জ্যোতির্বিদরা বেতার তরঙ্গ আবির্ভুত হওয়ার একটি নতুন পন্থা খুঁজে পেয়েছেন: ভলিউমের ডায়াল ঘুরানো,আর একটি প্রকান্ড কৃষ্ণ গহ্বর এর ঘূর্ণন!
আমরা রেডিওতে যেসব গান শুনি তা প্রকৃতপক্ষে শব্দ তরঙ্গ যা যন্ত্র থেকে আমাদের কানে আসে।কিন্তু তাদের যন্ত্রে পাঠানো হয় "বেতার তরঙ্গ" এর মাধ্যমে।বেতার তরঙ্গ কোন প্রকার শব্দ নয়, এমন এক ধরনের আলো যা তোমাদের চোখ দেখতে পায় না।
বেতার তরঙ্গ দৃশ্যহীনভাবে সংগীত, ছবি এবং উপাত্ত বাতাসের মধ্য দিয় পাঠায়।আমাদের চারপাশে সবসময় এমনটি ঘটছে, হাজারো উপায়ে।মোবাইল ফোন, ওয়াই-ফাই হটস্পট এবং হাজারো তারহীন যন্ত্র সবকিছুই যোগাযোগের জন্য বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে।
বেতার তরঙ্গ বর্হিঃবিশ্ব থেকেও পৃথিবীতে আসে।গ্রহ, নক্ষত্র এবং নক্ষত্রপুঞ্জ সবই বেতার তরঙ্গ উদগিরণ করে।কিন্তু সবচেয়ে বড় উৎস হল প্রকান্ড কৃষ্ণগহ্বরগুলো।
উপরে শিল্পীর আঁকা ছবিতে দেখা যায়, একটি প্রকান্ড কৃষ্ণ গহ্বর বস্তু গ্রাস করছে।চিরতরে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পূর্বে তারাটির সকল বস্তু অতি উচ্চ বেগে কৃষ্ণ গহ্বরের চারপাশে ঘুরতে থাকে।এই দ্রুত বেগে ঘুরতে থাকা বস্তুই প্রচুর পরিমাণে বেতার তরঙ্গ মহাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয়।
কিন্তু সকল প্রকান্ড কৃষ্ণ গহ্বর একই পরিমাণ বেতার তরঙ্গ উদগিরণ করে না।এটি জ্যোতির্বিদদের দীর্ঘ সময়কাল হতভম্ব করেছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে, একদল বিজ্ঞানী ঠিক করলেন কী কারণে এমনটি হয় তা খুব কাছাকাছি থেকে পর্যবেক্ষণ করবেন।তারা সতর্কতার সাথে ৮,০০০ প্রকান্ড কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে গবেষণা করলেন, যাদের কিছু তীব্র বেতার তরঙ্গ নিঃসরণ করে, এবং কিছু কম।এটা থেকে তারা হয়ত একটি উত্তর খুঁজে পেয়েছেন: ঘূর্ণন।
মহাবিশ্ব ঘূর্ণায়মান বস্তুতে পরিপূর্ণ: পৃথিবী, সূর্য এবং নক্ষত্রপুঞ্জ।কৃষ্ণ গহ্বর এর ব্যতিক্রম নয়।এই নতুন ফলাফলগুলোর ভিত্তিতে এটা প্রতীয়মান হয় যে দ্রুত ঘূর্ণায়মান কৃষ্ণ গহ্বর বেশি বেতার তরঙ্গ নিঃসরণ করে
Cool Fact
যদি কিছু বেতার তরঙ্গকে না থামায়, এরা আজীবন ভ্রমণ করতে পারে।এমনও বেতার তরঙ্গও থাকতে পারে যা হয়ত আমাদের সৌরজগতের বহু দূরের জগতে পৌঁছে গেছে।বিয়ন্স এর একটি গান শুনে ভিন গ্রহের প্রাণি প্রজাতি কি ভাবতে পারে?
মঈনুল হোসেন, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
Share: